আল্লাহ কুকুর কেন সৃষ্টি করেছেন? Natural misty sonali
আল্লহ সুবহানাতালা এই পৃথিবীতে সমস্ত রকম মাখলুকাত সৃষ্টি করেছেন, আর এই সমস্ত রকম মাখলুকাত সৃষ্টি কারার পিছনে কোন না কোন কারণ রয়েছে, উদ্দেশ ও কারণ অবশ্যই রয়েছে। প্রতেক জীব-জন্তুর কোন না কোন একটা বিশেষ জ্ঞান রয়েছে। সে আপনাকে ভাভোবান করবে নয়তো ক্ষতী করবে।
- আল্লহ সুবহানাতালা র লাখো-কোটি মাখলুকাতার এর মধ্যে একটি মাখলু কুকুর ও আছে। কুকুর কে সাধারনতো বিস্তত মাখলুক মনে করা হয়ে থাকে। এবং সে তার নিজর মালিককে শত্রুর হাত থেকে শুরাক্ষা করার জন্য তার প্রণ প্রন চেষ্টা করে থাকে।
- কিন্তু আপনে- আমার প্রতেকের ঈমানের এমন একটি অংশ যে, রাসুলে পাক(সঃ) এরশাদ করেছেন যে, যে ঘরে কুকুর থাকবে সেই ঘরে ফেরেস্তা কখনো ও প্রবেশ করতে পারবে না।
- কুকুর কে কেনো সৃষ্টি করা হলো এই নিয়ে দুটি মতামোত আছে, মাজহামে বিষেশ বিষেশ বই গুলোতে এমনটি উল্লেখ আছে যে,
- ইবলিস শয়তান জীন ছিলো। কিন্তু আল্লহ সুবহানাতালা তার ইবাদতে মুগ্ধ হয়ে তাকে ফেরেস্তার দের সাথে যুক্ত করে নিয়েছিলো।
- তার ইবাদত প্রতিনিয়ত বাড়তেই চলেছিলো শয়তান ইবলিস এমন কোন অংশ ছিলো না যে, সেখনে সে সিজদা করেন নি। আর তার সীমাহীন ইবাদত করার জন্য আল্লহ সুবহানাতালা এতোটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে, জীন থেকে ফেরাস্তাদের সর্দার বানিয়ে দিয়েছিলেন।
- আর যখন তাকে ফেরাস্তাদের সর্দার বানালো হলো,তখন সে অহংকারী হয়ে উঠলো, আর সে জন্য সে মাটির পুতুল অর্থাৎ মাটির পুতুল হযরত আদম (আঃ) কে সিজদা করতে অস্বিকার করলো। আর এখান থেকে শুরু হলো আদম (আঃ) আর শয়তান এর মধ্য শত্রুতা।
- মাজহামির বই গুলো থেকে জানা গেছেে যে, আল্লহ সুবহানাতালা শয়তান ইবলিস কে আদম (আঃ) কে সিজদা করতে বললেন, তখন সে বড় অহংকার করে তার উপর থুথু ফেলে দিলো, আর শয়তান এর সেই থুথু আদম (আঃ) এর পেটে গেয়ে পড়লো ।
- এরপর আল্লহ সুবহানাতালা জিবরাইল (আঃ) কে সেই থুথু আলা মাটি উঠানোর কথা বললেন, তখন জিবরাইল আমিন পেট থেকে সেই থুথু তুলে নিলেন।
- আর সেই জন্য আদম (আঃ) এর পেটর কাছে একটি শুরঙ্গ তৈরি হলো, আর সেই ছোট্র শুরঙ্গ আজ আমাদের নাভি রুপে সমস্ত মানুষের শরীরে অবস্থান করছে।
- আর আল্লহ সুবহানাতালা এই নাভি র মাটি থেকে কুকুর কে সৃষ্টি করেছেন।
- গোলামা-একরাম গোন বলে থাকেন যে, কুকুর এর মধ্যে দুটো বিশেস্ত থাকে এর মধ্যে দুটো বিশেস্ত মধ্যে একটি বিশেস্ত ত হলো ঃ একটি হলো মানুকে এই জন্য ভালোবাসেন যে, সে মানুষের নাভি র মাটি থেকে সৃষ্টি হয়েছে।
- আর একটি বিশেস্ত ত হলো ঃ এরা মানুষকে ঘেউ ঘেউ করে।
- আর এটার জন্য গোলামা-একরাম গোন এই উঃ সামনে এনেছেন যে, কুকুর এর শরীরে শয়তান এর থুথু উপস্তিতি রয়েছে।
- আপনারা এটি জেনে অবাক হবেন যে, কুকুর শয়তান কে দেখতে পাই।
- এটি একটি কারণ যে, শয়তান কে রাতের অন্ধকারে আকাশে উড়তে দেখে তে পাই তখন সে উপরে র দিক মুখ করে একটি ভয়ংকর আওয়াজ করে থাকে, সেই আওয়াজকে আমরা বিজ্ঞানের ভাষায় হওয়র বলে থাকি।
- কুকুর কে কেণ সৃষ্টি বা কেনই বা সৃষ্টি করা হয়েছে এই সম্পের্কে আর একটি রেওয়াত এসেছে নূরে মুবিন নামে একটি বই থেকে পাওয়া গেছে।
- হযরত আলী (রাঃ) হুজুরে পাক(সঃ) এর কাছে জিজ্ঞেস করলেন আল্লহ সুবহানাতালা কুকুরকে কিভাবে সৃষ্টি করেছেন, তখন হযরত হুজুরে পাক(সঃ) বললেন,আল্লহ সুবহানাতালা কুকুরকে শয়তান ইবলিস এর থুথু থেকে সৃষ্টি করেছেন।
- তখন হযরত আলী (রাঃ) বললেন,সেটি কেমন করে,তখন হুজুরে পাক(সঃ) বললেন,যখন আল্লহ সুবহানাতালা হযরত আদম ও হযরত হাওয়াকে পৃথীবির মাটিতে নামালেন তখন তারা দুজনে ভীতু হয় কপতে ছিলো আর সেই সময় শয়তান ইবলিস হযরত আদম (সঃ এর প্রথমে এইপৃথীবির মাটিতে পৌছে গিয়েছিলেন আর যখন ইবলিস শুনতে পেলো তখন তাড়াতাড়ি সমস্ত মাখলুক দের ডেকে বললেন যে, আকাশ থেকে পৃথীবির মাটিতে দুটি এমন পাপি নিচে পড়েছে যাদর কে এর আগে কখনই দেখনি, আর না তো তাদের স্বীকার করেছো, যদি তাকে একবার তোমরা স্বীকার করতে পারো তাহলে তার স্বাদ তোমরা কখনই ভুলতে পারবে না।
- এমনটি শুনে সমস্ত মাখলুক ইবলিস এর পিছনে দৌড়াতে শুরু করলো। আর রাস্তায় যেতে যেতে এমনটি বলে উসকারা দিচ্ছলো যে , এই তো পৌছে গিয়েছি আর একটু সময় বাকি আছে, আর যখন ইবলিস এমন কথা বলছিলো তখন তার মুখ থেকে থুথু বের হচ্ছিলো, আর সেই থুথু থেকে একটা মাদা-ও একটা মাদি কুকুরকে সৃষ্টি করলেন।
- তখন তারা দুজন হযরত আদম (সঃ এর সামনে দাড়িয়ে গেলো। আর অন্যন মাখলুকদের ভিরতেই দিলো না। আর সেদিন থেকে জঙ্গলি প্রণি সমস্ত কুকুরের শত্রু হয়ে গেছে।
- এখানে আমরা কিছুটা জনতে পারলাম যে, কুকুর মানুষের এই জন্য বিস্তত হয়ে থাকে কেননা একে সৃষ্টি করা হয়েছে মানুষকে হেফাযত করা।
- কুকুর পৃথীবিতে একমাএ প্রাণী তার 💟জীবনে ,
- শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত ভালোবাসার,
- দাম দিয়ে যায়...!!!!
আল্লহ সুবহানাতালা এই পৃথিবীতে সমস্ত রকম মাখলুকাত সৃষ্টি করেছেন, আর এই সমস্ত রকম মাখলুকাত সৃষ্টি কারার পিছনে কোন না কোন কারণ রয়েছে, উদ্দেশ ও কারণ অবশ্যই রয়েছে। প্রতেক জীব-জন্তুর কোন না কোন একটা বিশেষ জ্ঞান রয়েছে। সে আপনাকে ভাভোবান করবে নয়তো ক্ষতী করবে।
No comments